পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন সূরার ফজিলত সম্পর্কে জানুন। কোন সূরা পাঠ করলে কি হবে? জেনে আমল করুন এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করুন।
পবিত্র কোরআন আল্লাহ তা'আলার বাণী। এটি মানবজাতির জন্য হেদায়েত ও রহমতস্বরূপ। কোরআনের প্রতিটি অক্ষর ও শব্দের মধ্যে রয়েছে অশেষ ফজিলত ও বরকত। কোরআন পাঠ করলে আল্লাহর রহমত লাভ হয়, গুনাহ মাফ হয়, দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা আসে।
কোরআনের বিভিন্ন সূরার মধ্যে কিছু সূরার ফজিলত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই সূরাগুলো পাঠ করলে বিশেষ বিশেষ ফজিলত ও বরকত লাভ করা যায়।
আসুন জেনে নিই কোন সূরা পাঠ করলে কি হবে:
- সূরা ফাতেহা চারবার পাঠ করলে দুই খতম কোরআনের ছাওয়াব পাওয়া যায়। (আবূ দাউদ, মাযহারী)
- সূরা ইয়াছিন একবার পাঠ করলে দশ খতম কোরআনের ছাওয়াব পাওয়া যায়।(তিরমিযি)
- সূরা মূলক প্রতিদিন নিয়মিত পাঠ করলে কবরের সর্বপ্রকার আযাব ও বিপদ দূর হয়।(তিরমিযি)
- সূরা ওয়াকেয়া প্রতিদিন নিয়মিত পাঠ করলে ছাওয়াবের সাথে সাথে অভাবও দূর হয়। (বায়হাকী)
- সূরা কাওছার চারবার পাঠ করলে এক খতম কোরআনের ছাওয়াব পাওয়া যায়। (আহমদ)
- সূরা তাকাছুর একবার পাঠ করলে এক হাজার আয়াত পাঠের ছাওয়াব পাওয়া যায়। (মেশকাত)
- সূরা এখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআনের ছাওয়াব পাওয়া যায়। (মুসলিম)
- সূরা কাফিরূন চারবার পাঠ করলে এক খতম কোরআনের ছাওয়াব পাওয়া যায়। (তিরমিযি)
- সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত সকাল-বিকাল পাঠ করলে সত্তর হাজার ফেরেশ্তা তার জন্য মাগফেরাতের দুয়া করতে থাকে। (মেশকাত)
- আয়াতুল কুরসী প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর পড়লে জান্নাত নসীব হয়। (নূরুস সূদুর)
এছাড়াও আরও অনেক সূরার ফজিলত রয়েছে। আমরা যদি নিয়মিত কোরআনের সূরাগুলো পাঠ করি, তাহলে আমাদের জীবনে অনেক কল্যাণ ও বরকত আসবে।
আমাদের উচিত কোরআনের সূরাগুলোর ফজিলত সম্পর্কে জানতে এবং সেগুলোকে নিয়মিত পাঠ করার চেষ্টা করা।